নিজস্ব প্রতিবেদন
সিরাজগঞ্জের যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার
৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুত পানি বাড়ার কারণে একের
পর এক ডুবছে ফসলি জমি, ভাসছে নতুন নতুন গ্রাম।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজিপুরের চরাঞ্চলে অবিস্থত ৬টি ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এরইমধ্যে চরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাটুয়ারপাড়া থেকে রূপসার প্রায় ১১ কিলোমিটার
আরসিসি রাস্তার তিন কিলোমিটার পানিতে ডুবে গেছে।
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি
বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা
পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যায় সদর উপজেলাসহ
জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বসতভিটায় পানি ওঠায় মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ
বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
জেলার বিভিন্ন পানিবন্দী এলাকায় সুপেয় পানির
সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত পানি বাড়ায় জেলার
শাহজাদপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন অব্যাহত আছে।
পানি তোড়ে এই রাস্তা যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে
বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী ।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ২৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
এরইমধ্যে উপজেলার ১১৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান,
আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। গতকাল
এই সমস্যায় করণীয় বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদ হলরুমে।
চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক