আবু জাফর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে খুলনা হয়ে ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেট গমন করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, ২৮ নভেম্বর ৬টায় সময় অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে বিজিডিও-২৫৩ সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা ও নায়েব সুবেদার মোঃ শামীম আলম নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল কলারোয়া থানাধীন ঝাউডাঙ্গা চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ ট্রাক গলদা-বাগদা চিংড়ি ও দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ আটক করে।
উক্ত অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রণয় বিশ্বাস, বিজিবি’র পক্ষে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা এর সাথে ১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে আটককৃত মাছগুলি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রণয় বিশ্বাস, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা এবং বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ কর্তৃক সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতঃ ১১২২ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ সনাক্ত করে; যার মূল্য ১৫,৭০,৮০০/- টাকা। উক্ত অপদ্রব্য পুশকৃত মাছগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিধায় পর্ষদের নির্দেশক্রমে অপদ্রব্য পুশকৃত ১৫,৭০,৮০০/- টাকা মূল্যের ১১২২ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছ পুঁড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি মাছের সাথে অপদ্রব্য পুশ ব্যতিত ২৫০ কেজি বাদগা/গলদা চিংড়ি ও ৩৭৬০ কেজি দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ পাওয়া যায় যা; টাস্কফোর্স পর্ষদ কর্তৃক নিলামে বিক্রি করা হয় যার মূল্য ২,৫০,০০০/- টাকা।
সর্বমোট সিজার মূল্য ১৮,২০,৮০০/- টাকা (আঠার লক্ষ বিশ হাজার আটশত) টাকা।
এ সময়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ বাজারজাত করনের দায়ে মোঃ আরিফ হোসেন (২২), পিতা-জহুরুল মোড়ল, গ্রাম-থানাঘাটা, পোষ্ট-লাবসা, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরাকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
চ্যানেল আর এ নিউজ / সাতক্ষীরা