আবহওয়া পরির্বতনের কারণে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। অধিকাংশ মানুষই এই সময়টাতে খুসখুসে কাশির যন্ত্রণায় ভোগেন। কারণে অকারণে শুকনো কফের থেকে কিছুক্ষণ পর পর কাশি ওঠে। ক্রমাগত কাশি অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। চলুন জেনে নেই খুসখুসে কাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আছে ঘরোয়া কিছু উপায়–
মধু
মধুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাশি কমাতে সাহায্য করে। রোজ এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
রসুন
অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ রসুন কাশি কমাতে দারুণ উপকারী। একটি রসুন কুচিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া গরম ভাতেও খেতে পারেন কাঁচা রসুন। কাশি কমবে দ্রুত।
হলুদ
হলুদে কারকিউমিন নামে যে উপাদান আছে, তা জীবাণুরোধী ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামাটরি হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস দুধে এক চা–চামচ হলুদ ও আট ভাগের এক চা–চামচ গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।
আদা
ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে আদার উপকারিতা কম নয়। অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ আদা কাশি,সর্দি মুহূর্তে কমিয়ে দেয়। আদা থেঁতো করে গরম পানিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন। পানিতে যদি খানিকটা গোলমরিচ মিশিয়ে নেন, তা হলে আরও বেশি উপকার পাবেন।
তুলসী: তুলসীপাতাতে ভিটামিন সি ও জিংক আছে, যা প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। রোজ তিন–চারটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা মধুর সঙ্গে তুলসীর রস মিশিয়ে কিংবা চায়ে দিয়েও খেতে পারেন। তুলসী চা–ও পাওয়া যায়।
ভাপ
ঠান্ডা লাগলেই চিকিৎসকরা প্রথমে ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে এসে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানির ভাপ নেওয়া ছাড়াও নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। উপকার পাবেন।
মসলা চা: পানিতে লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি গরম মসলা মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে সেই হারবাল টি পান করুন। এতে গলার প্রদাহ কমবে আর কফ দূর হবে।