নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকাগামী পরিবহনে ডাকাতির রোমহর্ষক পরিকল্পনা ভেস্তে দিল পুলিশ। ভুয়া পরিচয়ে ঘৃণ্য প্রতারণা! “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার” সেজে ডাকাতির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জাকারিয়া আহমেদ তাপাদার রাজন (৩৪)। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ—ঘটনাস্থল ছিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাবো পৌরসভার বাশার পুলিশ বক্স সংলগ্ন এলাকা। সময়টা ছিল গভীর রাত, ১৪ জুন, শনিবার।
অস্ত্র, পিস্তল, ওয়াকিটকি—সব ছিল পুলিশের মতো সাজে!
পুলিশের অভিযানে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়:
- তিনটি ডিবি পুলিশের ওয়াকিটকি
- একজোড়া হ্যান্ডকাফ
- একটি বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন
- ধারালো অস্ত্র (১৫/১৬ ইঞ্চি)
- তিনটি পুলিশ স্টাইল কটি
- সীমবিহীন স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন ডিভাইস
- ডাকাতির জন্য প্রস্তুত করা ব্যাগ
এ যেন সিনেমাকেও হার মানায়! এ ভুয়া এসপি দীর্ঘদিন ধরে তার চক্রের আরও ৫-৭ জন সদস্য নিয়ে পরিবহনে ডাকাতি চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। চক্রটি পুলিশের ছদ্মবেশে ভয় ধরিয়ে ডাকাতি করতো!
পরিচয়ে প্রতারণা, বিয়ে করে নির্যাতন!
জাকারিয়া শুধু ডাকাত নয়, একজন ঠান্ডা মাথার প্রতারকও বটে। নিজেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে চার বছর আগে বিয়ে করে রূপগঞ্জের চনপাড়া পূনর্বাসন কেন্দ্রের মৃত মাহতাব চৌধুরীর মেয়ে মারিয়া চৌধুরীকে। এখন তার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন ওই স্ত্রী।
রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্যের আশঙ্কা!
রূপগঞ্জ থানার এসআই মোঃ রিয়াদুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে।
“সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রেও ছিল তার সম্পৃক্ততা!”—ওসি লিয়াকত আলী
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, জাকারিয়া ঢাকার এক **সংগঠিত অপরাধচক্র ‘মান-চিন্তা’**র সক্রিয় সদস্য। তার নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে, যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কাজেও জড়িত।
চ্যানেল আর এ নিউজ /মোঃ নওয়াব ভূইয়া /রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)