মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের তেরশ্রী বাজারে আজাদ মেডিকেল হল-এ দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখছেন এক সাবেক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান (জিন্নাহ)। অভিযোগ উঠেছে, তিনি হাইকোর্টের সুস্পষ্ট আদেশ অমান্য করে এখনো নিজের নামের আগে ‘ডাঃ’ শব্দটি ব্যবহার করছেন এবং নিজেকে এমবিবিএসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।
❗ হাইকোর্টের রায় যা বলছে:
সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্ট এক চূড়ান্ত রায়ে উল্লেখ করেছে—একমাত্র এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীরা নামের আগে ‘ডাঃ’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যথায় এটি আইন লঙ্ঘনের শামিল, যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
⚠️ অভিযোগের বিবরণ:
স্থানীয়রা জানান, মোঃ লুৎফর রহমান নিজ চেম্বারে ব্যক্তিগত প্রেসক্রিপশন প্যাডে সরকারি লোগো, পরিবার পরিকল্পনার নাম এবং অবসরপ্রাপ্ত সিল ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। রোগীদের জন্য তিনি এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথার ইনজেকশন পর্যন্ত লিখছেন, যা তার পদমর্যাদা ও অনুমোদনের বাইরে পড়ে।
একজন রোগী জানান, ব্যথাজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাকে দেওয়া ইনজেকশন ও ওষুধ বাবদ ৫,০০০ টাকা বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, চেম্বারে তার সিরিয়াল ম্যানেজার রয়েছে, এবং ওষুধও সরবরাহ করা হয় ওই চেম্বার থেকেই—যার দাম ও গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
🤝 স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়া:
ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহসান বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন এবং সাংবাদিকদের জানান,
“একজন ব্যক্তি যদি এমবিবিএস বা বিডিএস না হন, তবে তিনি নামের আগে ‘ডাঃ’ ব্যবহার করতে পারেন না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ—প্রমাণ পাওয়ার পরও আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুই মৌখিক নিষেধাজ্ঞায় বিষয়টি গোপনে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে।
চ্যানেল আর এ নিউজ /ওমাহাবুব আলম তুষার /মানিকগঞ্জ