বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ও দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যোগ করুন) এক স্মরণসভা, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসমূহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক জননেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অংশসমূহ:
- আলোচনা পর্বে বক্তারা শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। বিশেষ করে তার অবদান হিসেবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতার ঘোষণাসহ দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করা হয়।
- প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন,
“শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, তিনি একজন দূরদর্শী কৌশলী যিনি জাতিকে আত্মনির্ভরশীল হতে শিখিয়েছেন। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে।” - তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রদর্শন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের আন্দোলন জোরদার করতে হবে।”
দোয়া মাহফিল:
অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ রাষ্ট্রনায়কের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের পূর্ণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রার্থনা জানানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন:
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন:
এই আয়োজন শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের অবদানকে স্মরণ ও সম্মান জানানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস ছিল। তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা ও নেতৃত্বগুণ আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক এবং উদ্বুদ্ধকর।
চ্যানেল আর এ নিউজ /মির্জাপুর/শাকিল সিকদার