মো.দুলাল হোসেন রাজু, / জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
জুলাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলাকারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক সানোয়ার হোসেন ও তার বাবা পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আতœীয় ও রাষ্ট্রপতির ভাগিনা পরিচয়ধারী নিরক্ষর, বিতর্কিক সাংবাদিক হুমায়ুন এখনও রয়েছে গেছে বহাল তবিয়তে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী সানোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর নিজেকে সাংবাদিক দাবি করছেন।
এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার ও তার বাবা নিরক্ষর সাংবাদিক হুমায়ুনকে গ্রেফতারের প্রশাসনের প্রতি ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সদস্য ও সমান্বয়করা। জানা গেছে বিগত সময়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র ভাগিনা পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চোরাচালান,মাদক ব্যবসা,চাদাবাজি,নারী নির্যাতন ,শিশু অপহরণ ডাকাতীসহ সবই ছিল এই নিরক্ষর সাংবাদিক হুমায়ুনের নিয়ন্ত্রণে।স্থানীয় এলাকার শতাধিক লোকজন বলেন,চতুর হুমায়ুন নিরক্ষর হলেও তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র ছত্রছায় সাংবাদিকতা পেশায়,নিয়োগ পায়।
সে কোন দিন স্কুলের বারিন্দায়ও যায়নি,একজন মূর্খ পাথর শ্রমিক কিভাবে সাংবাদিক হয়? সাংবাদিকতা করতে গেলে তো নুন্যতম যোগ্যতা থাকার কথা তার তো সে যোগ্যতাও নেই। মূলত সে একজন ধান্দাবাজ প্রতারক,প্রতারণা আর চাদাবাজি করে হুমায়ুন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। স্থানীয় এলাকার তার এক নিকট আতœীয় মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,নিরক্ষর হুমায়ুন সে তো একজন পাথর শ্রমিক,তৎকালীন সময়ে পাথর কোয়ারীতে শ্রমিকের কাজ করতো ,তখন বিজিবি’র লাইনের নামে শ্রমিকদের নিকট থেকে চাদা তুলতো।
হঠাৎ শুনতে পারি সে নাকি সাংবাদিক? রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র ভাগিনা,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আতœীয়। নিরক্ষর সাংবাদিক হুমায়ুন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাথে মোবাইলে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে চাদাবাজির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তিনি আরো বলেন,ভাইরাল হওয়া হওয়া ভিডিওটি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ৫/৬মাস আগের। ভিডিওতে নিরক্ষর সাংবাদিককে বলতে শুনা যায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্টপতি তার কাছের লোক যে কোন সমস্যা তার এক ফোনই যতেষ্ট,গোয়াইনঘাটের সব সাংবাদিক এক পাল্লায় ওজন করলে যা হবে তার ওজন তা হবে,এমন দাম্ভিকতা আর ফ্যসিস্ট প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ব্যাবসায়ীদের কাছে প্রতি সাপ্তাহে এক লাখ টাকা চাদাদাবি করে হুমায়ুন।
এ ব্যাপারে ১১ নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ব্যাবসায়ী সংগঠনের সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান,সাংবাদিক নামধারী হুমায়ুন একজন প্রতারক-চাদাবাজ প্রকৃতির লোক। পতিত সৈ¦রাচার শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতির ভাগিনা পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপটে ফাসিস্ট সরকারের কিছু অসত পুলিশের যোগসাজসে চাদাবাজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বাংলাবাজার এলাকায় আমার সংগঠনের ব্যাবসায়ীদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা চাদা নিয়েছে এই মূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন।
কেউ তাকে চাদা না দিলে নানা ধরণের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যে কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।তার চাদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকেই জেল খেটেছে এমনকি দেশ ছাড়াও হয়েছে।বাউর ভাগ এলাকার ব্যাবসায়ী শাহজাহান মিয়া ও নাইন্দার হাওড় গ্রামের নাসির মুন্সী বলেন,পড়া লেখা না জানা,চতুর হুমায়ুন একজন ভুয়া সাংবাদিক চাদাবাজিই তার মূল পেশা,তাকে চাদা দিতেই হবে, চাদা না দিলে,পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে এক রকম জিম্মি করে সম্প্রতি সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকার ব্যাবসায়ী ও আমাদের নিকট থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা চাদা নিয়েছে। জাফলংয়ের নবম খন্ড এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বী মো.জুলহাস সিকদার বলেন,প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ভয় দেখিয়ে চাদাবাজি করে নামধারী সাংবাদিক হুমায়ুন।
সম্প্রতি সমযে তার একটি বালুর নৌকা আটক করে ১৪ হাজার টাকা চাদা নিয়েছে। মূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুনের মামলা-হামলার অত্যাচারে দেশ ছাড়া এক পল্লী চিকিৎসক,মো. শাহিন আলম মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে বলেন,তার ভাই পল্লী চিকিৎসক এবি এম.দুলাল আহমদ নিবন্ধনবিহীন মা’মণি প্রকল্প নামক একটি সমিতি পরিচালনা করতো। সমিতির নিবন্ধন না থাকায় মূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন,পুলিশের ভয় দেখিয়ে তার ভাই দুলাল’র কাছে ২ লাখ টাকা চাদাদাবি করে একপর্যায় দুলাল তাকে ৫০ হাজার টাকা চাদা দেয়,চাদার বাকি টাকা পরিশোধ করতে না পারায়,এই মুর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন-এক দলিল লেখককে সাথে নিয়ে ৩’শ টাকার স্ট্যাম্পসহ ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক দুলাল’র মালিকানাধীন মা’মণি ফার্মেসীতে যায়,স্ট্যাম্প লিখার বিষয়ে কথাকাটা-কাটির এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে হাতা-হাতির সৃষ্টি হয়,হুমায়ুন’র মাথায় আঘাত পেয়ে যায় তার পর থেকে সে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করে তার চাদাবাজির সর্ম্পন অডিও ক্লিপ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
তিনি আরো বলেন সাংবাদিক নামধারী চাদাবাজ একাধিক বার মাদকসহ আইন শৃঙ্গখুলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে,তার বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা চোরাচালান মামলা,জিআর ১৬২/২০১৫, বন বিভাগের গাছ চুরির মামলা,জিআর-১৫৩/১৩,সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট-ডাকাতী মামলা,১নং জজ আদালত মামলা-৭/১৬ শিশু অপহরণ ২নং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩১৮/১৫ মামলা মাদক,চাদাবাজি,নারী ও শিশু নির্যাতন,চুরি-ডাকাতী ও শিশু অপহরণসহ প্রায় শতাধিক মামলার আসামী মুর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন।বিগত সময়ে তার আতœীয়, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র ছত্রছায়ায় অধিকাংশ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে যায়।এখন তার সব অপকর্ম টিকিয়ে রাখতে ছেলেকে পূর্নভাসনের পায়তারা করছে। গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলায় জড়িত তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন, মুঠা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি গণমাধ্যমের কার্ড সংগ্রহ করে একদিনেই সাংবাদিক হয়ে গেলেন।স্বৈরাচার মুক্ত দেশ গঠনের ছাত্রদের অঙ্গীকার নৎসাত করছে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন বিতর্কিত সাংবাদিক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন ও নিরক্ষর, চাদাবাজ সাংবাদিক হুমায়ুন।
৫ আগষ্টের পরও এই নিরক্ষর সাংবাদিকের কি এমন ক্ষমতা আছে? পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র ভাগিনা বলেই কি? এখনোও রয়ে গেছে সেই অদৃশ্য শক্তি? সাংবাদিকতার মুখোশে বিএনপি-জামাতের রাজনৈতিক দমন করাই ছিল তার মূল লক্ষ। সাংবাদিকতার পেশাকে পুজি করে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ব্যাবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নানা কৌশলে চাদাবাজি করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি-কোটি টাকা।রাষ্ট্রপতির ভাগিনা হওয়ার সুবাদে ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আতœীয় হওয়ার বিনিময়ে ওই সময় ভাগিয়ে নেন টেলিভিশনের লাইসেন্স যদিও বিশেষ উদ্দেশ্যে ছিল প্রতিনিধি নিয়োগ বাণিজ্য’র ধান্দা। তবে ফ্রিকুইন্সী না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আলোর মূখ দেখেনি ইউরো বাংলা নামের টিভি চ্যানেলটি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার হাজারও মানুষের অভিযোগ,বিগত ১৬ বছর ধরে পতিত স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ,পুলিশের ডিসি এসপি,ডিইজি’র ভয় দেখিয়ে চাদাবাজি করে আসছে এখনও তার চাদাবাজি রয়েছে বহাল তবিয়তে। সম্প্রতি জাফলংয়ের এক বিএনপির নেতার অফিসের ভিতরে কয়েকজন নেতার সামনে বসে খোস গল্প করতে দেখা যায় এই নিরক্ষর-বিতর্কিত সাংবাদিক হুমায়ুন কে। সম্প্রতি সময়ে এই বিতর্কিত সাংবাদিকের নানা অপকর্মের অডিও ভিডিও ক্লিপ ও অসংখ্যক ভুক্তভোগীর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায়, উপজেলায় জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার সাথে জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ ছবি শনাক্ত হয়েছে এবং চাদাবাজদের তালিকাও প্রস্তুত হয়েছে খুব দ্রæত সময়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পর গোয়াইনঘাট থানায় এই নিরক্ষর সাংবাদিক ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হওয়া স্বত্বেও প্রকাশ্যে, বিতর্কিত সাংবাদিক হুমায়ুন ও তার ছেলের এমন এ অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জাফলংয়ের জুমপাড় এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি চাপায় চার শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পাথরের গর্তের মালিক’র কাছ থেকে বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি ধামাচাপা দেওয়ার বিশ^াসঘাতক,এই নিরক্ষর সাংবাদিক।সাংবাদিকতার আড়ালে চাদাবাজির অভিযোগ’র বিষয়ে জানতে চাইলে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি হুমায়ুন।গত ৫ আগষ্টের পর পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাবাজি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ এসেছে সামনে জানা গেছে,তার আরো অনেক গোপন কাহিনী। বহুরূপী এই নামধারী সাংবাদিকের অবৈধ সম্পদের আয় ব্যায়ের হিসাব তদন্ত করবেন দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমন প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।চাদাবাজির চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে বিস্তারিত: আসছে দ্বিতীয় পর্বে।
জৈন্তাপুর (সিলেট) / চ্যানেল আর এ নিউজ