নিজস্ব প্রতিবেদন ঝমঝমিয়ে নামবে হঠাৎ বৃষ্টি। ছাতা নিয়ে বের না হওয়া পথিক যা কিছু থাকে, মাথায় তুলে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে কোথাও। আবার বৃষ্টিবন্দি হতে নারাজ—এমন মানুষেরা ভিজবে অঝোর ধারায়। বর্ষা এলে সৃষ্টি হয় এমন কত নান্দনিক দৃশ্যের। বর্ষার জলতরঙ্গ হৃদয়ে ঢেউ তোলে আমাদের। আষাঢ়ে অকূলপাথারে পড়ে মানুষের মন। কিন্তু ইদানীং বর্ষার মূল চরিত্র বৃষ্টির দেখাই নেই তেমন। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বিরোধ জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ কেটে দিচ্ছে। পঞ্জিকা ধরে পাগলা হাওয়ার বাদল দিন ঘন ঘন আসে না আর। প্রায়ই ছিটেফোঁটা বৃষ্টি পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তারই মধ্যে একেক দিন চরাচর ভাসানো বারিধারা। তাতে ভেসে যায় আমাদের মন। শিশুরা মাঠে-ছাদে ছুটে যায়। জানালায় মুখ রাখে কেউ কেউ। খিচুড়ি হতে হতে অনেক সময় হাওয়ায় মিলিয়ে যায় নাগরিক মেঘ। আয়োজন করে উপভোগ করার সুযোগ মেলে না। আজ ১৪৩০ বাংলা সনের পহেলা আষাঢ়। বর্ষার প্রথম দিন। এ সময়ে নদীমাতৃক বাংলার নদীনালা, খাল-বিলসহ সব জলাশয় পানিতে ভরে ওঠে। তাতে ফোটে শাপলা, পদ্ম আর নাম না জানা শত জলজ ফুল। পথিকের চোখ আটকে যায় কদম ও চালতার স্নিগ্ধ সোনালি সবুজে। গ্রামবাংলার দিগন্তরেখাজুড়ে ছেয়ে থাকা মেঘের গর্জন রাখালবালককে ব্যস্ত করে তোলে। নদী-হাওরের বধূরা এ সময় অপেক্ষায় থাকেন বর্ষার জল ভেঙে নৌকায় বাপের বাড়িতে নাইয়র যেতে। বর্ষা আমাদের মন ও প্রকৃতিকে সবুজ করে তোলে। বর্ষায় আরো ঘন ও সজল হয়ে ওঠে সব। শৈশবের বৃষ্টির স্মৃতি উঁকি মারে মনে। নতুন মেঘ দেখে পুরাতন হৃদয় দুলে ওঠে। বাতাসে বৃষ্টির সুবাস অলস করে তোলে। আনন্দের শিহরণ জাগায়। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ়ের পয়লা দিন থেকে বর্ষাকাল শুরু হলেও বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসেই বৃষ্টির সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে যায় আমাদের। এ দেশে এখনো ৮০ শতাংশ বৃষ্টিই হয় বর্ষার আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলা ঋতুতেও পড়েছে। এবার শীত ও গ্রীষ্মকালে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। উষ্ণতাও বেশি ছিল। গত বছরের নভেম্বর থেকে দেশে বৃষ্টি কম হয়ে শুষ্ক শীতকাল আরো বেশি শুষ্ক হয়ে পড়েছিল। এবার গ্রীষ্মে রেকর্ড গরমের বিপদ কাটিয়ে বর্ষায় কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে বলে অনেকে আশায় ছিলেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমেও যে মাত্রায় তাপপ্রবাহ চলছে তা এ দেশে খুব কম দেখা গেছে। তবে আশার কথা হলো, গত কয়েক দিন রাজধানীসহ সারা দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। শোনা গেছে বর্ষার আগমনী গান। আশা করা যায়, অনাবিল বৃষ্টিধারায় শিগগিরই আর্দ্র-কোমল হয়ে উঠবে চারপাশ। সতেজ সবুজে স্নিগ্ধ হয়ে উঠবে বাংলার নিসর্গ। বর্ষায় এখনো ব্যাঙের ডাকে মুখর হয়ে ওঠে অনেক গ্রাম। টিনের চালে বৃষ্টির নূপুর সৃষ্টি করে রিনিঝিনি সংগীতের। চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্কপহেলা আষাঢ় আজ : বৃষ্টির ছন্দের প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদন

ঝমঝমিয়ে নামবে হঠাৎ বৃষ্টি। ছাতা নিয়ে বের না হওয়া পথিক যা কিছু থাকে, মাথায় তুলে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে কোথাও। আবার বৃষ্টিবন্দি হতে নারাজ—এমন মানুষেরা ভিজবে অঝোর ধারায়। বর্ষা এলে সৃষ্টি হয় এমন কত নান্দনিক দৃশ্যের।

বর্ষার জলতরঙ্গ হৃদয়ে ঢেউ তোলে আমাদের। আষাঢ়ে অকূলপাথারে পড়ে মানুষের মন। কিন্তু ইদানীং বর্ষার মূল চরিত্র বৃষ্টির দেখাই নেই তেমন। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বিরোধ জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ কেটে দিচ্ছে।

পঞ্জিকা ধরে পাগলা হাওয়ার বাদল দিন ঘন ঘন আসে না আর। প্রায়ই ছিটেফোঁটা বৃষ্টি পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তারই মধ্যে একেক দিন চরাচর ভাসানো বারিধারা। তাতে ভেসে যায় আমাদের মন।

শিশুরা মাঠে-ছাদে ছুটে যায়। জানালায় মুখ রাখে কেউ কেউ। খিচুড়ি হতে হতে অনেক সময় হাওয়ায় মিলিয়ে যায় নাগরিক মেঘ। আয়োজন করে উপভোগ করার সুযোগ মেলে না। আজ ১৪৩০ বাংলা সনের পহেলা আষাঢ়।

বর্ষার প্রথম দিন। এ সময়ে নদীমাতৃক বাংলার নদীনালা, খাল-বিলসহ সব জলাশয় পানিতে ভরে ওঠে। তাতে ফোটে শাপলা, পদ্ম আর নাম না জানা শত জলজ ফুল। পথিকের চোখ আটকে যায় কদম ও চালতার স্নিগ্ধ সোনালি সবুজে। গ্রামবাংলার দিগন্তরেখাজুড়ে ছেয়ে থাকা মেঘের গর্জন রাখালবালককে ব্যস্ত করে তোলে। নদী-হাওরের বধূরা এ সময় অপেক্ষায় থাকেন বর্ষার জল ভেঙে নৌকায় বাপের বাড়িতে নাইয়র যেতে।

বর্ষা আমাদের মন ও প্রকৃতিকে সবুজ করে তোলে। বর্ষায় আরো ঘন ও সজল হয়ে ওঠে সব। শৈশবের বৃষ্টির স্মৃতি উঁকি মারে মনে। নতুন মেঘ দেখে পুরাতন হৃদয় দুলে ওঠে। বাতাসে বৃষ্টির সুবাস অলস করে তোলে। আনন্দের শিহরণ জাগায়।

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ়ের পয়লা দিন থেকে বর্ষাকাল শুরু হলেও বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসেই বৃষ্টির সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে যায় আমাদের। এ দেশে এখনো ৮০ শতাংশ বৃষ্টিই হয় বর্ষার আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলা ঋতুতেও পড়েছে। এবার শীত ও গ্রীষ্মকালে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। উষ্ণতাও বেশি ছিল। গত বছরের নভেম্বর থেকে দেশে বৃষ্টি কম হয়ে শুষ্ক শীতকাল আরো বেশি শুষ্ক হয়ে পড়েছিল। এবার গ্রীষ্মে রেকর্ড গরমের বিপদ কাটিয়ে বর্ষায় কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে বলে অনেকে আশায় ছিলেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমেও যে মাত্রায় তাপপ্রবাহ চলছে তা এ দেশে খুব কম দেখা গেছে।

তবে আশার কথা হলো, গত কয়েক দিন রাজধানীসহ সারা দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। শোনা গেছে বর্ষার আগমনী গান। আশা করা যায়, অনাবিল বৃষ্টিধারায় শিগগিরই আর্দ্র-কোমল হয়ে উঠবে চারপাশ। সতেজ সবুজে স্নিগ্ধ হয়ে উঠবে বাংলার নিসর্গ। বর্ষায় এখনো ব্যাঙের ডাকে মুখর হয়ে ওঠে অনেক গ্রাম। টিনের চালে বৃষ্টির নূপুর সৃষ্টি করে রিনিঝিনি সংগীতের।

চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *