নিজস্ব প্রতিবেদন
টানা গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। ঘরে-বাইরে গরমে অস্বস্তিকর গুমোট পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এ অবস্থায় গরমের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। আজ বৃহস্পতিবার স্বস্তি নেমে এসেছে শহরজুড়ে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দর এলাকাগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, আজ চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব শুরু হওয়ার আগেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১১-১২ জুনের দিকে দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ১০ তারিখের পর সারা দেশে বৃষ্টিপাত কমবেশি বাড়বে, কিন্তু সারা দেশে একই সঙ্গে বাড়বে না।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের ১২টিতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাঙামাটিতে ৯৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া বান্দরবানে ২৫ মিলিমিটার এবং নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক