চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ছয় জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর শুরু করা হয়েছে। আজ রোববার (৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা শুরু হয়। ছয় জনের মধ্যে দুজন বিস্ফোরণ হওয়া সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কর্মী নন। ঘটনার সময় তারা কারখানা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছিলেন। বিস্ফোরণের ফলে কারখানা থেকে উড়ে আসা লোহার টুকরার আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা চলছে।
বিস্ফোরণে নিহত ছয় জন হলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এলাকার আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া এলাকার চিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে রতন লখরেট (৪৫), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার চরলরেন্স এলাকার মহিদুল হকের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩০) ও ময়মনসিংহের সেলিম রিচিল (৩৮)।
বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- ফোরকান আলী (৩৩), মোহাম্মদ রিপন (৪০), রোজি বেগম (২৪), আজাদ, রিপন মারাক (৬০), প্রনবেশ (৪০), ফেন্সী (২৬), মো. জাহেদ (৩০), মুজিবুল হক (৪৫), নুর হোসেন (৩০), আব্দুল মোতালেব (৫২), নারায়ন ধর (৬০), মো. আরাফাত (২২), মাকসুদুল আলম, মো. ওসমান (৪৫), মো. সোলায়মান (৪০) ও নাসিম শাহরিয়ার (২৬)।
চমেক হাসপাতালের কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার জানান, মরদেহগুলো শনাক্তের পরে নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করছি। দ্রুত ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর শুরু হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করা হবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। কারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটিও কাজ করছেন বলে জানান তিনি।