ইউক্রেনীয় সেনাদের আর মাত্র একটি পথ খোলা রয়েছে

রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন দাবি করেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত প্রায় ঘিরে ফেলেছে। শুক্রবার শহরটিতে শেষ প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান বলেছেন, বাখমুত ঘিরে ফেলার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাদের মাত্র একটি পথ খোলা রয়েছে।

রয়টার্স সাংবাদিকরা বাখমুতের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা পরিখা খনন করছে বলে দেখতে পেয়েছেন। এসব পরিখা খনন করে নিজেদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে তারা। কয়েক মাস ধরে শহরের ভেতরে অবস্থান করা ইউক্রেনীয় একটি ড্রোন ইউনিটের কমান্ডার বলেছেন, তাকে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লড়াইয়ের পোশাক পরিহিত অবস্থায় অজ্ঞাতস্থানের একটি ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে রেকর্ডকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। ভিডিওতে তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়েছেন শহর থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করার জন্য।

প্রিগোজিন বলেন, ওয়াগনার গ্রুপের বেসরকারিবাহিনী কার্যত বাখমুত ঘিরে ফেলেছে। একটি পথ খোলা রয়েছে। চক্র পূর্ণ হতে চলেছে।

ভিডিও বার্তায় তিন বন্দি ইউক্রেনীয়কে দেখানো হয়েছে। এদের একজন বয়স্ক এবং দুজন তরুণ। তাদেরকে ভীত দেখাচ্ছিল।

বাখমুত দখল ও রক্ষার লড়াইয়ে উভয় পক্ষে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিয়েভ দাবি করে আসছে তাদের সেনারা এখনও শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে তারা বলে আসছে পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের এক উপ-কমান্ডার ভলোদিমির নাজারেঙ্কো বলেছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্রতি মুহূর্তে লড়াই চলছে। রুশরা নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছে না, তারা আক্রমণ করেই শহর দখল করতে চাইছে। বাখমুতে ইউক্রেনীয় সেনাদের লক্ষ্য হলো যত বেশি সম্ভব রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি করা। প্রতি মিটার ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের জন্য রাশিয়াকে কয়েকশ’ সেনার জীবন দিতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যত দ্রুত সম্ভব গোলাবারুদ প্রয়োজন। আমাদের কাছে থাকা গোলাবারুদ দিয়ে যত সেনাকে ধ্বংস করা সম্ভব তার চেয়ে বেশি যোদ্ধা রয়েছে রাশিয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *