পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তার `ডি কোম্পানি’-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলকে দুবাই পাঠিয়েছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। এই দলে আছেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এর কর্মকর্তরা।
গত বছর এনআইএ একটি সন্ত্রাসী হামলার মামলায় দাউদ ইব্রাহিমসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। যেমন, ‘ডি-কোম্পানি’। ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এই সংস্থাটি।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনআইএ কর্মকর্তরা দুবাইয়ের তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। সন্ত্রাসী অর্থায়নের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ্য পেতে তারা এই বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এনআইএ সদর দপ্তরের সোর্স অফিসারের মতে, কোন কর্মকর্তারা দুবাই গিয়েছেন, তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। তবে এটা নিশ্চিত যে ডি কোম্পানির বিরুদ্ধে নথিভুক্ত মামলার তদন্ত করার পরে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপর অনেক আসামির বক্তব্যও রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলায় অনেক আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থা বিদেশি তদন্তকারী সংস্থার সাহায্যও নিতে পারে, যার ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছরে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ দাউদ ইব্রাহিম ও অন্যান্য অনেক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) মামলা নথিভুক্ত করেছে।
সম্প্রতি এনআইএ জানিয়েছে, ডি-কোম্পানির কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিপুল পরিমান অর্থ দুবাই থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি আরো অভিযোগ করেছে, সন্ত্রাসের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মুম্বাই এবং ভারতের অন্যান্য অংশে ‘সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কাজ’ শুরু করার জন্য অর্থ পেয়েছে।
এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে দাউদ ইব্রাহিম ও তার আন্ডারওয়ার্ল্ড কোম্পানি সন্ত্রাসবাদ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।