মুরগির ফাদেঁ আটকা পড়ে মানসিক আঘাতেই চিতা বাঘের মৃত্যু

ভারতের কেরালার এক মুরগির ঘরে আটকা পড়ে একটি চিতা বাঘ মারা গেছে। খবরটা এ পর্যন্ত ঠিক ছিল কিন্তু সত্যিকার অর্থে যে কারণে চিতা বাঘটি মারা গেছে সেটা অবশ্যই বিস্ময়কর বটে। বলা হচ্ছে, বাঘটি মারা গেছে ‘মানসিক আঘাতে’
গত শুক্রবার রাতে কেরালার মেকালাপারায় একটি মুরগির ঘরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ফিলিপ নামের এক ব্যক্তির বাড়ির মুরগির ঘরে ছিল জাল। চিতা বাঘটি জালে আটকে পড়লে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মকর্তারা এসে বাঘটি আর জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি।
সেই রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে ফিলিপ বলেন, ‘রাতে আমার মুরগির ঘর থেকে শব্দ শুনতে পাই। আমার ঘর থেকে বের হয়ে এসে দেখতে পাই চিতা বাঘটি জালে আটকা পড়ে আছে।’ তিনি বলেন, সেখানে প্রায় ১০০টি মুরগি ছিল।

এই জালে পড়ে বাঘটি যে খুব বেশি আহত হয়েছিল, এমনটি নয়। চিতা বাঘটি শুধু পায়ে আঘাত পেয়েছিল। তবে সেই আঘাতও খুব গুরুতর ছিল না। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বাঘটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে।

চিকিৎসক অরুণ জাচারিয়াহ এই ময়নাতদন্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পেশিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে চিতা বাঘটি মারা গেছে।

তবে এটা প্রাথমিক কারণ।চিকিৎসক অরুণ বলেন, বাঘটির নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। সেখান থেকে প্রতিবেদন এলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হবে। এরপর সঠিক কারণটি জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেশিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, বাঘটি ঝুলে পড়ায় পেশিতে চাপ পড়েছে। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাঘটি সামনে ডান পায়ে একটি ফাটল ধরা পড়েছে।

অরুণ বলেন, ‘আমাদের ধারণা, বাঘটির বয়স তিন থেকে চার বছরের মধ্যে। এর একটি দাঁতও পাওয়া যায়নি।’ সবকিছু মিলিয়ে বাঘটি মানসিক আঘাতেই মরেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *