রোববার পশ্চিম-উত্তর পাকিস্তানে নৌকাডুবির ঘটনায় অত্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে। কোহাটের তান্ডা বাঁধের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানায়, ডুবে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে ২৫ জন শিক্ষার্থী ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্য একজন শিক্ষার্থী হাস্পাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়। অন্য ১৬ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার জুরুরি পরিষেবার মুখপাত্র বিলাল ফাইজির বরাতে পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ডন জানিয়েছে , স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাসফরে বাঁধে বেড়াতে এসছিল। নৌকা থাকা শিশুদের সবার বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারনেই নৌকাটি ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইজি আরও জানান, সাতটি অ্যাম্বুলেন্স, চারটি নৌকা, দুটি উদ্ধারকারী যান এবং ৪০ জনেরও বেশি কর্মী উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে, যা এখনও চলছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মীর রউফ জানিয়েছেন, তান্ডা বাঁধ হ্রদ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদের সকলের বয়স সাত থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আজম খান এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসন ডেপুটি কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্ধার অভিযান তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে নৌকা ডুবির ঘটনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ দেশটিতে নৌকাগুলো দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। এচাড়াও দেশের অনেকেই সাঁতার জানেন না, বিশেষ করে নারীরা যারা রক্ষণশীল সামাজিক আচরণের কারণে শেখার থেকে নিরুৎসাহিত হন। জুলাই মাসে, পাঞ্জাব প্রদেশে সিন্ধু নদীতে বরযাত্রীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেলে ১৮ জন মহিলা ডুবে মারা যান।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর