ঢাকা থেকে জয় নিয়ে নিজেদের ভেন্যুতে এসেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু নিজেদের মাঠে চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে আবার ঢাকায় ফিরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ভেন্যুর পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি চট্টগ্রামের দলটির। নিজেদের মাঠে শেষ দুই ম্যাচে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢাকায় গিয়ে আবার হারল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হারের হ্যাটট্রিক পূরণ করল দলটৈি। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দারুন ব্যাটিং করে দলের জয়ে বড় ভুমিকা রাখেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই ফিরেন শেখ মেহেদি হাসান। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ভালো ব্যাটিং করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি । ইনিংসের নবম ওভারে ফিরেছেন ২৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করে। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান শোয়েব মালিক। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ওমরজাই। দুজন মিলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। ২৪ বলে একটি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান করা ওমরজাই ফিরলে ভাঙে এজুটি। তবে শোয়েব মালিককে ফেরাতে পারেনি চট্টগ্রামের বোলাররা। ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা মালিক অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৭৫ রান করে। সমান ৫টি করে চার এবং ছক্কা মেরেছেন তিনি। আর তাতেই রংপুর রাইডার্সের রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৯ রানে। চট্টগ্রামের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মেহেদি হাসান রানা।

১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় চট্টগ্রাম। প্রথম ওভারে উসমান খান। পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই আউট অভিষিক্ত তৌফিক খান। তৃতীয় ওভারে ফিরেন খাজা নাফে। এরপর ডরউইচ রাসুলিকে নিয়ে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ৬৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। ১৭ বলে ২১ রান করে রাসুলি ফিরলে ভাঙে এজুটি।

এরপর জিয়াউর রহমানর এসে অধিনায়ককে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি। ১২ বলে একটি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ রান করে আউট হন জিয়াউর। এরপরের ব্যাটাররা কেবলই আসা যাওয়া করেছেন। তাতেই ১৬.৩ ওভারে ১২৪ রান করে অল আউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা শুভাগত। আউট ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে। মেরেছেন সমান ৪টি করে চার এবং ছক্কা। রংপুর রাইডার্সেল পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। ২টি উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শোয়েব মালিক।

নিজস্ব প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *