ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদন

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশস্থলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লঞ্চ,
বাস ও ট্রাকে ছুটে আসছে মানুষ। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে সেখানে জড়ো হচ্ছে তারা।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সুধী সমাবেশে বক্তৃতাপর্বে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট সবার কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
যারা কাজ করার সময় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
যারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নানা যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

জাতির গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ১০০ টাকা মূল্যমান স্মারক নোট
মুদ্রণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই
নোটের হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

পদ্মা সেতু উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভোরে দেখা গেছে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের অংশ ও
বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে
এগিয়ে যাচ্ছে। লাল-সবুজের টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে বা পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসযোগে
বিভিন্ন সড়ক ধরে ঘাটের দিকে আসছেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ,
যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা আছেন।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর দাফতরিক নাম ‘পদ্মা সেতু’।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু রাজধানীর সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করলো
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকে। দ্বিতল বিশিষ্ট দেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে গাড়ি ও রেল দুটোই চলবে।

১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।
মূল কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর। এরপর করোনা মহামারীতেও এক দিনের জন্য কাজ
থেমে থাকেনি; দীর্ঘ সাত বছরের দিনরাত হাজারও মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *