নিজস্ব প্রতিবেদন
কনটেইনার ডিপোতে শনিবার (৪ জুন) রাতে আগুন লাগার পর রাত
১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ডিপোতে এখনও আগুন জ্বলছে।
শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দও। ফায়ার সার্ভিসসহ
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ
বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৩ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী।
শনিবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা রয়েছেন।
এদের মধ্যে বেশিরভাগকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অনেককে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রয়েছে।
কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুন লাগার পর কনটেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।
বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে তিন-চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে।
আশপাশের বাড়ি-ঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
অগ্নিদগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট যোগ দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।
চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক