ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদন

ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের জন্য আমদানিকারকদের থেকে নিচ্ছে ৯২-৯৩ টাকা।
এ কারণে খরচ বাড়ছে আমদানি পণ্যের। অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমাচ্ছে বাংলাদেশ।
এতে দাম বাড়ছে মার্কিন ডলারের। আমদানি দায় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে গত দেড় মাসে কয়েক ধাপে ডলারের দাম বেড়েছে ৭০ পয়সা। গত সোমবার যা বেড়ে হয়েছে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা।
তবে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের জন্য আমদানিকারকদের থেকে নিচ্ছে ৯২-৯৩ টাকা।
এ কারণে খরচ বাড়ছে আমদানি পণ্যের। যার প্রভাব পড়ছে ভোগ্যপণ্যের দামে।
ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।
এ জন্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ঋণপত্র খোলার সময় নগদ জমার হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কারণ, দেশে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে ভবিষ্যতের ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে না।
এদিকে ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও আরও বেশি চটেছে নগদ ডলারের বাজার।
গতকাল বুধবার নগদ প্রতি ডলারের দাম ৯৩ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
করোনার পরে বিদেশে যাওয়া বেড়ে গেছে, এর ফলে চাহিদাও বেড়েছে।
তবে বিদেশি পর্যটক ও নগদ ডলার দেশে আসছে কম।
এতেই বাড়ছে দাম।
খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানি বাড়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম বাড়ছে।
এ জন্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বড় উদ্যোগ নিতে হবে।
আর খোলাবাজারে সংকট কাটাতে কেউ যাতে সীমার বেশি নগদ ডলার বিদেশে নিতে না পারে, তার তদারকি জোরদার করতে হবে।

চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *