ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদন

টেবিলের ওপর টাকা রাখা। আর তিনি বলছিলেন, ‘টাকা আমি একা নিই না। অনেককে দিতে হয়। এমনকি এসি ল্যান্ড ও নেন।
সরকার একটা আইন করে রাখলেও এটাই স্টাইল। ’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা
আলমগীর মিঞা চৌধুরীর এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

আলমগীর মিঞা তাঁর নিজ কার্যালয়ে বসে কাজের বিনিময়ে টাকা দাবি করে এর ব্যাখ্যা দেন।
ঘুষ হিসেবে পাওয়া ৫০০ টাকার নোট দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে তিনি ২০০ টাকা পাবে। ’

ভিডিওতে আলমগীর মিঞাকে বলতে শোনা যায়, ‘দৌড়াদৌড়ি যখন করতেন না,
আফনে আমারে না জিগাইয়া ডিড রাইটারে (দলিল লেখক) জিগান তারা কত টেহা দেয়।
আফনে অত টেহাঅই দিবেন। আমি খুলাখুলি বলি, আমডা জমা দিলে ত সিস্টেমে অইয়া জাগা।
এই সিস্টেমের জন্য এ অত হে অত দেওন লাগে। ছয়-সাতজনে পায়। ’

এদিকে তহশিলদার আলমগীর মিঞার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভলাকুট গ্রামের শামীম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।
এতে আলমগীর মিয়ার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরি, খাজনা ও নামজারির জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে আলমগীর মিঞা চৌধুরী বলেন,
‘কেউ এ ভিডিওটা করে সাংবাদিকদের দিয়েছে।
ভিডিও করার আগে একজন ৫০০ টাকার খাজনা দিয়ে গেছে।
এ টাকা থেকে তিনি ২০০ টাকা ফেরত দিয়েছি,সেটা বুঝিয়েছে।


মূলত ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেলে এর জবাব দেওয়া হবে। ’

চ্যানেল আর এ নিউজ ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *